নিজস্ব প্রতিবেদক :: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে অশ্লীল ও অশোভন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও যৌতূক চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকা গুলশান থানার কনেস্টবল রুবেল এর বিরুদ্ধে। নগরীর উত্তর কাউনিয়া ১নং ওয়ার্ডে বাসীন্দা মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ মতিন হাওলাদর বলেন, আমি আমার মেয়ে আফরোজা আক্তারকে কাগাশুরা আমিরগঞ্জ এলাকার মোঃ জয়নাল হাওলাদারের ছেলে রুবেল হাওলাদারের সাথে ৮/৮/২০১৬ ই তারিখে শরিয়ত মোতাবেক উভয়ের পরিবারের উপস্থিতিতে কাগাশুরা কাজী বশির উদ্দিন এর মাধ্যেমে বিবাহ হয়। তিনি আরোও বলেন, বিবাহর পর থেকে আমার জামাই ঢাকা চাকুরী করে আসছে। সে আমার মেয়েকে বাড়ি রেখে তার মা বাবা ধারা অমানুষিক নির্যাতন করাতেন। আমার মেয়ে বার বার অভিযোগ দিতেন, কিন্তু আমি আমার মেয়েকে দোষারোপ করে আসতাম। আমার জামাই রুবেল হাওলাদার সে বিবাহের পর থেকে আমার কাছে ২ লাখ টাকার মোটরবাইক সহ তার ঘরের প্রয়োজনীয় মালামাল চেয়ে আসছে। আমি তার চাহিদামত মোটরবাইক ও মালামাল দিতে না পারায় আমার মেয়ের সাথে তার মা ও বাবা এমনকি সে ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে আমার মেয়েকে অশীল আচারন করতো। বাড়িতে তার মা বাবাকে দিয়ে নির্যাতন কড়াত। অসুস্থ হলেও কোন ডাক্তার দেখাতো না। এমন নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে কাউনিয়া থানায় বসাবসি হয়। পুনরায় আমি থানা পুলিশের কথা মতো আমার মেয়েকে রুবেলদের বাড়িতে দিয়ে আশি। রুবেল ঢাকা থাকে তার ২ বছরের মেয়ে রাফিয়া জাহান। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে আরোও জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল আফরোজা তার শশুর বাড়ি বসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে। অসুস্থ অবস্থায় আফরোজা তার ২ বছরের মেয়েকে নিয়ে গাড়িতে করে আমাদের বাড়িতে আসে। তাকে প্রথমে ডাক্তার মিজানুর রহমানকে দেখাই সে চিকিৎসা দেয়। দীর্ঘ দিন সে অসুস্থ হয়ে আমাদের বাড়িতে আছে। কিন্তু পাষণ্ড জামাই ও তার পরিবারের লোকজন কোন খোজ না নিয়ে উল্টো আমাদের সাথে অশীল আচারন সহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। তারা আরোও বলেন, সে ঢাকা চাকুরী করতো এখন ফোন দিয়ে বলে আমি বরিশাল আসতেছি তোর মুক্তিযোদ্ধা চৌদ্দ গোস্টিকে জেলে ডুকবো। অসুস্থ আফরোজা বলেন, আমার ফ্যামিলি আমাকে বিয়ে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমি আমার স্বামীর অধিকার কি আমি পায়নি। বিয়ের পর থেকে স্বামীর নির্যাতন ও তার মা বাবার নির্যাতন সহ করে আসছি। আমার ২ বছরের মেয়ে সেও তার বাবাকে ঠিক মতো চিনেন না। সে ঢাকা থাকে আমার ভালমন্দ এমনকি মেয়ের বিষয়ে কোন দায়িত্ব নেই তার। তার মা বাবা যাহা বলেন, তা নিয়ে সে আমার সাথে খারাব আচারনসহ বিভিন্ন সময়ে আমার মা বাবা তোলে গালাগালি করে। আফরোজা আরোও বলেন, এর আগেও অনেক বার আমাকে মেড়ে ফেলার জন্য নানান কৌশল করে। কিন্তু থানা পুলিশের সহযোগীতায় আমি বেচে আছি। এক বার আমাকে ঘরের মধ্যে মুখে গামছা বেধে মাড়তে থাকেন। পাশের লোকে এমন দৃশ্য দেখে কাউনিয়া থানায় ফোন দেয় ঘটনাস্থলে এস আই নাছির এসে উদ্ধার করে। সে আরোও বলেন, আমার স্বামীর মোবাইলে ফোন দিলেই বলে তোর বাবাকে ২ লাখ টাকার মোটরবাইক সহ ঘরের মালামাল কিনে দিতে ভল। আর তা দিলেও তোর একা থাকতে হবে আমি তোর নামের স্বামী আমি তোর পাশাপাশি অন্য মেয়েকে নিয়ে সংসার সাজাবো। তা যদি দেখে থাকতে পারও তাহলে থাকিবি। না হয় তোর পথ তুই দেখবি। ভুক্তভোগী বলেন, আমার বাবার বয়স হয়েছে। অল্প বেতনে চাকুরী করে। তার বেতনের টাকা দিয়ে পরিবারের চলাই কষ্ট হয়। সে ২ লাখ টাকার গাড়ি ও ঘরের মালামাল কেমনে দিবে। আমিও আমার মেয়েকে নিয়ে ৬-৭ মাস পযন্ত বাবার বাড়ি। আমার স্বামী কোনও টাকা পয়সা দেয় না। বরং আমাকে আরোও গালাগালি করে। সে আরোও বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে কোনরকম বাবার বাড়িতে আসছি। এখন আমার স্বামী আমাকে বলে তোর মা বাবা ভাইসহ সবাইর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবো। এতো দিন আমি ঢাকায় ছিলাম তাই কিছুই করতে পারিনি, এখন বরিশালে আসতেছি তোর ফ্যামিলির সবাইকে আমি দেখে নিভো। ভুক্তভোগীর ফ্যামিলি এখন ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। তারা বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এক জন পুলিশের কনেস্টবল জামাইর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। তারা বলেন, এর আগেও কয়েকবার লিখিত দিয়ে আমার মেয়েকে নিয়েছে। কিন্তু বাড়িতে নেওয়ার পরে তাদের নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলছে। আমরা আইনীয় আশ্রয় নিভো। গোপনে রুবেল হাওলাদারের আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানাযায়, আসলে রুবেল তার মা বাবার কথা মতো যে কোনও মানুষের গায়ে হাত তুলেন। ওটা তার ছোটবেলা থেকে অভ্যাস। ঠিক এখনও ওই নোংরামি ভুলতে পারেনি। সে তার মা বাবার কথা মতো তার স্ত্রীর সাথেও ওই নোংরামিগুলো করে। তারা আরোও বলেন, বর্তমানের মেয়েরা আগের যুগের মতো কি হয়। রুবেলের মা বাবা তাহা তার বৌকে দিয়ে করাতে চায়। এই নিয়ে ওদের ফ্যামিলিতে ঝামেলা। তারা বলেন, এক জন পুলিশের স্ত্রীর সন্তান কি ওই ভাবে থাকতে পারে। আসলে ওরা জীবনে পরিবর্তন হবে না। প্রতিবেশীরা বলেন, আমরা যানি রুবেল তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকা থাকে এখন আপনার কাছে শুনলাম স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে আছে।
তবে স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতূকের বিষয়ে পুলিশ রুবেল বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে বাড়িতে রাখতে চাই সে আমার মা বাবার সাথে থাকিবে না বলে জানায়। আর যৌতুক কি করে চাই আমি পুলিশ। তবে মোবাইল ম্যাসেজারে যৌতুক চাওয়ার প্রমাণ আছে বলিলে। তিনি বলেন, আসলে আমার নামে ভূয়া আইডি খুলে আমার নামে মিথ্যাচার করছে।
Leave a Reply